সাধারণ সময়ের ক্রেতা সমাগমকে উপেক্ষা করে, বাড়তি ক্রেতার সমাগমই প্রমান করে দিচ্ছে, ঈদ আগাম বার্তা। এখন থেকেই জমে উঠতে শুরু করেছে, ঈদের কেনাকাটা। কাল রমজানের প্রথম ছুটির দিন হওয়ায়, রাজধানীর ছোট-বড় প্রায় সব মার্কেটেই ক্রেতার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। আকাশের গুড়িগুড়ি বৃষ্টি, কখনও রোদ তো কখনও মেঘলা আকাশ সব কিছুই উপেক্ষা করে, মানুষ পারি জমিয়েছে, মার্কেট, মলগুলোতে।
ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত 'জেনেটিক প্লাজা'-কে ঈদকে ঘিরে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বেশ ছিমছামভাবে। ক্রেতাদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে মোতায়ান করা হয়েছে, বাড়তি নিরাপত্তাকর্মী। এই মার্কেটে আন-স্টিচ থ্রি-পিস, তৈরি থ্রি-পিস, ইন্ডিয়ান পোশাক, শিশুদের পোশাক, শাড়ি, জুতা-স্যান্ডেল, অনামেন্টস ও কসমেটিকস-সহ সবই পাওয়া যাচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর আনাগোনা এই মার্কেট ঘিরে। অন্যদিকে নারীদের আনস্টিচ থ্রিপিস ও তৈরি পোশাকের শো-রুম 'ললনা'। এখানে ঈদকে ঘিরে ইন্ডিয়ান ফ্রক স্টাইলের লম্বা জামাগুলোর বিক্রি হচ্ছে বেশী। তাছাড়াও লং কামিজের সাথে সাথে চলছে, গঙ্গা, বিশাল, কাশিস, ফিওনা ফ্লিআল, নিতাই, ওমটেক্স সবই বোম্বে কালেকশন। নিতাই পোশাকটির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে, শোরওয়ানি কলার, ফুল শ্লিপ আর ফ্রক স্টাইল। দাম পড়ছে সর্বনিম্ব ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এসব পোশাকে থাকছে গর্জিয়াস লেইস, পুতি, চুমকি, এমব্রয়ডারির ভারী কাজ।
ফ্যাশেনেবল তরুণীরা এখন ঈদে নিচ্ছে একাধিক পোশাক। তারা সময় ও পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে পোশাক নির্বাচন করেন। সকালে পরার জন্য হালকা ছিমছাম ডিজাইনের পোশাক, বন্ধুদের সাথে বেড়ানোর জন্য উজ্জ্বল রঙের পোশাক আর রাতে পার্টির জন্য গর্জিয়াস লুকের পোশাক কিনে থাকেন তারা। ফ্যাশন হাউসগুলোও ক্রেতাদের এই পছন্দের দিক বিবেচনা করে নানা আঙ্গিক ও ডিজাইনের পোশাক রাখছেন শোরুমগুলোতে। আর তাই তো সূতি, খাদি, এন্ডি কটন, এন্ডি সিল্ক কাপড়ে হালকা হাতের কাজ বা এম্ব্রয়ডারি কাজের প্রাধান্যও আছে অনেক। তাছাড়া বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলোতে ডিজাইনের পাশাপাশি পোশাকগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে, উজ্জ্বল রঙ ও উজ্জ্বল রঙের সুতোর কাজ। সুতির কাপড়ের পরিবর্তে এন্ডি সুতি, এন্ডি সিল্ক কাপড়ের প্রাধান্যও বেশী পাচ্ছে।
ঈদের এই বাজারে পুরুষের তুলনায় নারীদের আনাগোনাই বেশী। তরুণী-কিশোরীরা তাদের মা, চাচী, খালাদের সাথে শপিং করতে আসে। তাদের পছন্দের পোশাক পেতে তারা প্রাধান্য দিচ্ছে, ললনা, রেইন, নিসা কালেকশন, নাফিসা, শ্রেয়সী, নাবিলা, মিনিমার্ট ধানমন্ডি, দোলা শো-রুমগুলোকে। নিজেদের বুটিক, আর নিজস্ব ডিজাইনারদের দিয়ে তৈরি পোশাকগুলো নিজেদের বুটিকস হাউসের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার চেস্তাই থাকে এসকল বুটিকস আর ফ্যাশন হাউজগুলোতে।