২৪ ঘন্টায় আমরা সাধারনত ৫-৬ বার খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু রোজার মাস আসলেই রোজদারদের পক্ষে তিনবারের বেশী খাওয়া সম্ভব হয় না।
রমজান মাসে একজন রোজদার ইফতারি, সন্ধ্যা রাতে ও সেহরিতে খাবার খেয়ে থাকেন। একজন রোজদার তার বয়স, শারীরিক সুস্থতার উপর নির্ভর করে, তার খাবারের তালিকা নির্বাচন করেন। কিন্তু একজন অসুস্থ ব্যাক্তির রোজা রাখার ক্ষেত্রে সবসময়ই উচিত তার চিকিৎসক বা পুষ্টিবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে কোন খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও কোন খাদ্য বেশি খেতে হবে তা ঠিক করে নেওয়া। ইফতারি, সন্ধ্যা রাতে ও সেহরি, এই তিনবেলা খাদ্যবণ্টন এমন হতে হবে, যেন শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি, সে সকল খাবার থেকে সে পেতে পারে। প্রৌঢ় বয়সে সারা দিন রোজা রাখার পর যে কান্তি, অবসাদ ও দুর্বলতার সৃষ্টি হয় তা সুষম খাদ্যগ্রহণের ফলে পূরণ হয়। তাই এসময় অবশ্যই খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
সুষম খাবার আবার একেক বয়সের জন্য একেক রকম হয়। একে সাধারনত ছয়টি গ্রুপে ভাগ করা যায়। প্রথমটি হলো কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। অর্থাৎ ভাত, মুড়ি, চিঁড়া, রুটি ইত্যাদি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্রোটিন। যেমন- মাছ, গোশত, ডিম ও সেকেন্ডারি প্রোটিন ডাল ও বীচিজাতীয় খাদ্য। তৃতীয়টি হচ্ছে দুধ বা দুগ্ধজাত খাদ্য। যেমন- ফিরনি, দই, ছানা ইত্যাদি। এরপর যে খাবার প্রতিদিন আমাদের শরীরে অবশ্যই প্রয়োজনীয় তা হচ্ছে শাকসবজি। পঞ্চমটি হলো ফল এবং শেষেরটি তেলজাতীয় খাদ্য। একজন রোজাদারেরও প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ক্যালরির পরিমাণ ঠিক করে তিন বেলার খাদ্য বণ্টন করে নিতে হয়। একজন রোজাদারের খাদ্যতালিকায় এসকল খাদ্যের পরিমান সঠিকরূপে থাকলে, তার শারীরিক অবস্থা সবসময়ই ভালো আর সুস্থ থাকবে। তাই খাদ্য তালিকার প্রতি রমজান মাসে বিশেষ খেয়াল দিতে হবে। এবং অবশ্যই তিনবেলাই খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।