গত ৫ই ডিসেম্বর শোয়েতাকে সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় হায়দ্রাবাদ মহানগর দায়রা আদালত। হায়দ্রাবাদের একটি হোটেল থেকে অবৈধ যৌন ব্যবসায় জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে গ্রেফতার হন এই অভিনেত্রী। এরপর দুই মাস পুলিশের তত্ত্বাবধানে পুনর্বাসন কেন্দ্রে কাটান তিনি।
এ বিষয়ে শোয়েতা বলেন, "এভাবে নিজের সত্যতা প্রমাণের অপেক্ষায় ছিলাম। যদিও এ ঘটনাকে পেছনে ফেলে আমি সামনে এগিয়ে গেছি। কিন্তু এর একটা শেষ হওয়ার প্রয়োজন ছিল। আদালত আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। বলে বোঝাতে পারবো না, কতটা হালকা বোধ করছি। মনে হচ্ছে মাসের পর মাস আমার নামকে ঘিরে যে অবিশ্বাস আর সন্দেহের জাল তৈরি হয়েছিল, অবশেষে তা পরিস্কার হয়েছে।"
২৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী আরও বলেন গত কয়েক মাসে এই প্রথম তার বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটেছে। শোয়েতা গ্রেফতার হওয়ার পর গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছিল, দক্ষিণী সিনেমায় তেমন সুবিধা করতে না পেরে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।নিজের ও পরিবারের ভরনপোষণের জন্য তার কাছে আর কোনো দরজা খোলা ছিল না।
পুনর্বাসনকেন্দ্রে দুই মাস থাকার পর বাড়ি জামিনে বাড়ি ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শোয়েতা জানান, তিনি এমন কোনো বক্তব্যই তিনি দেননি। শুধু তাই নয়, ঐ হোটেলে তিনি গিয়েছিলেন একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। দুর্ভাগ্যবশত ঐ রাতে গ্রেফতার হন তিনি।
"এই পুরো বিষয়টি যে কত অন্তঃসারশূন্য ও অপ্রয়োজনীয় তা এখন বুঝতে পারছি। আমি যে বেঁচে আছি, সুস্থ আছি এবং যে কোনো কিছু করার জন্য প্রস্তুত তাতেই আমি খুশি। জীবন সুন্দর এবং আশাপ্রদ মনে হচ্ছে। আমার একটাই দুঃখ যে গণমাধ্যমের একটি অংশ আমার বিচার করেছে। আমাকে নিজের পক্ষে কথা বলার সুযোগ দেওয়া উচিৎ ছিল। অসুবিধা নাই। এখন যেহেতু আমার কলঙ্ক ঘুঁচে গিয়েছে, কারও বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ নেই।"
শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করা শোয়েতা ছোটপর্দার চেনা মুখ হয়ে উঠেছিলেন 'কাহানি ঘার ঘার কি', 'কারিশমা কা কারিশমা'র মতো টিভি সিরিয়ালের বদৌলতে। ২০০২ সালে মুক্তি পায় তার ভিশাল ভারাদওয়াজের পরিচালনায় তার সিনেমা ‘মাকড়ি’। শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন। এছাড়াও ‘ইকবাল’ সিনেমায় শোয়েতার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি দক্ষিণী সিনেমায় নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন।