২০১০ সালে সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের কথা নিশ্চইয় মনে আছে। ওই আসরের উল্লেখযোগ্য একটি অনুষঙ্গ ছিল ‘কান ফাটানো বাঁশি’ ভুভুজেলা।
যে বাঁশির সেই বিকট আওয়াজের কারণে মাঠে খেলা চালানোটাই দায় হয়ে পড়েছিল কর্তিপক্ষের। ওই এক বিশ্বকাপের আসর দিয়েই বিশ্বব্যাপী দারুণভাবে পরিচিতি লাভ করে ভুভুজেলা।
হাজার হাজার ভুভুজেলার শব্দের কারণে ম্যাচের সম্প্রচার পর্যন্ত বাঁধাগ্রস্ত হয়েছিল। ফলে বিশ্বকাপের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায় সেই বিকট শব্দের বাঁশিটিও।
তবে কি বৃহস্পতিবার সাওপাওলোতে শুরু হতে যাওয়া ব্রাজিল বিশ্বকাপেও ভুভুজেলার উৎপাত থাকছে? জবাবে বলতে হয়, না। অন্তত ব্রাজিল বিশ্বকাপে ভুভুজেলা প্রবেশ করতে পারবে না বলে আগে ভাগেই জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় আয়োজকরা।
যেহেতু এবারের বিশ্বকাপের আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা দল খেলছে না, সেহেতু দেশটির কট্টর সমর্থকদেরও মাঠে প্রবেশের সম্ভাবনা কম। রংবেরঙের পোশাক পরিহিত সমর্থকদের পতাকা ওড়ানো এবং ভুভুজেলার বিরক্তমাখা সুরের মুর্চ্ছনা উপভোগ করা থেকেও বঞ্চিত হবে বিশ্ববাসী।
তবে এটি ঠিক যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এই ভুভুজেলা। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজনার পরশ। দীর্ঘদিনের বর্ণ বৈষম্যকে ভুলে গিয়ে তারা সামিল হয়েছিল এক কাতারে। এমন কথা বললেন ২০ বছর বয়সী ছাত্র শিলে দিউব।
তবে এটি ছিল ক্ষণিকের। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডেলে ম্যাককিনলি বলেন, চার বছর আগে বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে যে জাতীয়তাবোধ, যে একতা আমাদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল, সময়ের আবর্তনে সেটি অনেকটাই খসে পড়েছে। বিশ্বকাপ শেষ হবার পর বেশ কটি মাস হয়তো আমরা সেই আবহ নিয়েই বসবাস করেছি। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা আবারো বাস্তবতায় ফিরে এসেছি।’